বিজয় ফুল, আসমা খান Victory Flower, Asma Khan
দেয়ালে পিঠ, তখন জাগে দুর্বার জনতা
এভাবেই শুরু হয় জাতীর বিজয়ের কথা।
দেশ ছিল জিম্মী, অধিবাসী আশ্রয় শিবিরে
বিপদ সংকেত সাইরেন বেজেছিল ব্লাক আউট চিরে।
যুদ্ধের নির্মম অন্ধকার বিপন্নতা
ভেঙ্গেছিল ঘর-দোর, মাচানের লাউ কুমড়ো লতা
বেশুমার লাস, মরহুম পিতা পুত্র পাশাপাশি ঘাসে
বারুদের ত্রাসেও দৃঢ় বিশ্বাসে
ছিল কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা…
বিশ্ব-মানচিত্রের ইতিহাস ভূগোলে
আজ আমাদের ঠিকানা, পাসপোর্ট, পরিচয়টুকু বলে
ষোলই ডিসেম্বর, একাত্তরে সেই যুদ্ধ বিজয়ের ফলে।
অর্ধশতক পরেও এই সুদুর দেশান্তরে
সর্বান্তকরনে স্মরনে ত্রিশ লক্ষ শহিদের মুদ্রিত চোখ
আজও ভুলাতে পারে আমাদের ক্ষনিকতা ছোট খাটো শোক
দিতে পারে সেই বিজয়ের বিপুল আলোক ঝলক
স্মরন সভায় প্রাজ্ঞ বক্তার কথায় কথায়
উৎপাটিত শিকড়ের গ্লানি বোধ হটাৎ থমকায়
‘পরিচয়ে’ পেন্ডুলামে দোলে অন্য হাওয়া
শিকড় খোঁজা? কোথায়? ঢাকা না অটোয়া?
স্থান যেখানেই হোক বিজয়ের সেই দুর্দান্ত রোখ
‘কাজে’ই সন্মানের মুকুটে উজ্জ্বল পালক
শতক শতকেও সেই বিজয়ের কথাই হোক।
আজ যেখানেই থাকো এই বিশাল পৃথিবীতে
দুর্লভ সেই গৌরব দিকে দিকে ছড়িয়ে দিতে
আশেপাশের ভাবনাতে ঝংকার তোল নুতন মুকূল
আঙ্গুলের তর্জনি ও মধ্যমায় বিজয়ের প্রতীক,
পকেটের পিনে গাঁথো শাপলাঃ বিজয় ফুল…
বেনামী যোদ্ধার কবরের সাড়ে তিন হাত সীমা
সমগ্র বিশ্বে স্মরন করো শহীদের বীরত্ব মহিমা
বিজয়ের মাশুল সেই ঋণ স্বীকারে এ শাপলা ফুল
গরিমায়, শ্রদ্ধায় পাঠ করো চেতনা ইস্কুল!!